রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
আবেদ হোসাইন, যশোর সিটি প্রতিনিধি, কালের খবর:
যশোর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক ও দক্ষ জনবল। যে দু’একটি প্রতিষ্ঠানে এই সুবিধা রয়েছে তাও নিম্নমানের। এ ছাড়াও সেগুলো বছরের পর বছর পরীক্ষা করা হয় না। ফলে বলা যায়, জেলার সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় ধরনের আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই ।
যশোর শহরের সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস এবং ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, সিভিল সার্জন অফিস, শহরের ল্যাবস্ক্যান, ঝর্ণা ক্লিনিক, জনতা, কুইন্স, দড়াটানা, একতা ও কিংস হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অগ্নিনির্বাপক বলতে আছে হ্যান্ড স্প্রে সিলিন্ডার। শহরের নোভা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা হতে পরিচালিত যশোরের ল্যাব এইড, ইবনে সিনা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেকটর ও হোস পাইপসহ উন্নত মেশিনারিজ থাকলেও তাদের নেই দক্ষকর্মী।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, যশোর জেনারেল হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, সিভিল সার্জন অফিস, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও আট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ যশোর জেলায় মোট ২শ ৮৯টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রয়েছে। এই সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাদে হাতে গোনা ১০/১১টি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে। বাকি গুলোতে কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক স্প্রে সিলিন্ডার।
ঢাকা হতে পরিচালিত যশোরের ইবনে সিনা হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেকটর ও হোসপাইপ উন্নত মেশিনারিজ ও প্রশিক্ষিত দক্ষকর্মী আছে। প্রতিবছর তাদেরকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
যশোর সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, জেলার সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, দ্রুত আগুন নেভানোর কর্মী নেই।